রাফউল ইয়াদাইন সম্পর্কে ১০০ টি হাদীস

সালাতের শুরুতে ও রুকুর আগে-পরে হাত উঠানো বা রাফউল ইয়াদাইন সংক্রান্ত ১০০টি হাদীস ১) সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নম্বরঃ ৬৯৯ ৪৭৫. সালাত শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে উভয় হাত উঠানো। ৬৯৯। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর রুকুতে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও অনুরূপভাবে দু’হাত উঠাতেন এবং سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ও رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। কিন্তু সিজদার সময় এরূপ করতেন না। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২) সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নম্বরঃ ৭০০ ৪৭৬. তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু থেকে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো। ৭০০। মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, তিনি যখন সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকু’র জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন এবং سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন। তবে সিজদার সময় এরুপ করতেন না। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩) সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নম্বরঃ ৭০১ ৪৭৬. তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু থেকে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো। ৭০১। ইসহাক ওয়াসিতী (রহঃ) ... আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি মালিক ইবনু হুওয়ায়িরিস (রাঃ) কে দেখেছেন, তিনি যখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু’ হাত উঠাতেন। আর যখন রূকূ’ করার ইচ্ছা করতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন, আবার যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৪) সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নম্বরঃ ৭০২ ৪৭৭. উভয় হাত কতটুকু উঠাবে। আবূ হুমাইদ (র.) তাঁর সাথীদের বলেছেন যে, নবী (সাঃ) কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন। ৭০২। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাকবীর দিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করতে দেখেছি, তিনি যখন তাকবীর বলতেন তখন তাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং কাঁধ বরাবর করতেন। আর যখন রুকূ’র তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, তখনও এরূপ করতেন এবং رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। কিন্তু সিজদায় যেতে এরূপ করতেন না। আর সিজদার থেকে মাথা উঠাবার সময়ও এরূপ করতেন না। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৫) সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নম্বরঃ ৭০৩ ৪৭৮. দু’রাকাআত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু’হাত উঠানো। ৭০৩। আইয়্যাশ (রহঃ) ... নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু উমর (রাঃ) যখন সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং দু’হাত উঠাতেন আর যখন রুকূ করতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন। এরপর যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন এবং দু’রাকাআত আদায়ের পর যখন দাঁড়াতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন। এ সমস্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত বলে ইবনু উমর (রাঃ) বলেছেন। এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালামা ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনু তাহমান, আইউন ও মূসা ইবনু উকবা (রহঃ) থেকে এ হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৬) সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪৭ ৯. তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরূপ করতে হবে না ৭৪৭। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী, সাঈদ ইবনু মানসুর, আবূ বাকর ইবন আবূ শায়বা, আমর আন-নাকিদ, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... সালিম-এর পিতা ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি তিনি যখন সালাত (নামায/নামাজ) আরম্ভ করতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন। এমনকি তা একেবারে তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর হয়ে যেত। আর রুকু করার পূর্বে এবং যখন রুকু থেকে উঠতেন (তখনো অনুরূপ ভাবে হাত উঠাতেন)। কিন্তু উভয় সিজদার মাঝখানে তিনি হাত উঠাতেন না। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৭) সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪৮ ৯. তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরূপ করতে হবে না ৭৪৮। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন। এমন কি তা তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর হয়ে যেত। তারপর তাকবীর বলতেন। পরে যখন রুকু করার ইরাদা করতেন তখন ও অনুরুপ করতেন। আবার রুকু থেকে যখন উঠতেন তখনও অনুরুপ করতেন। কিন্তু সিজদা থেকে যখন মাথা তুলতেন তখন এরূপ করতেন না। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৮) সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪৯ ৯. তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরূপ করতে হবে না ৭৪৯। মুহাম্মদ ইবনু রাফি ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কাহযায (রহঃ) ... যুহরি (রহঃ) সুত্রে উক্ত সনদে ইবনু জুরায়জ (রহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত (নামায/নামাজ) দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন তারপর তাকবীর বলতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৯) সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৫০ ৯. তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরূপ করতে হবে না ৭৫০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আবূ কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি মালিক ইবনুল হুওয়ায়রিস (রাঃ) কে দেখলেন, তিনি যখন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দাঁড়ালেন তখন তাকবীর বলে উভয় হাত উঠালেন। আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করলেন তখন উভয় হাত উঠালেন। আর রুকু থেকে যখন মাথা উঠালেন তখন আবারও হাত উঠালেন এবং (পরে) বর্ণনা করলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরুপ করতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১০) সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৫১ ৯. তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরূপ করতে হবে না ৭৫১। আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) … মালিক ইবনুল হুওয়ায়রিস (রাঃ) থেকে বর্নিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবির (তাকবীরে তাহরিমা) বলে উভয় কান বরাবর হাত উঠাতেন। আর যখন রুকু করতেন তখনও কান বরাবর উভয় হাত উঠাতেন। আবার যখন রুকু থেকে মাথা তুলে سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন তখনো অনুরূপ করতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১১) সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৫২ ৯. তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরূপ করতে হবে না ৭৫২। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... কাতাদা (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেন যে, মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রহঃ) বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কান বরাবর হাত তুলতে দেখেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১২) সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৮১ ১৫. তাক্বীরে তাহরিমার পর বুকের নীচে নাভীর উপরে বাম হাতের উপর ডান এবং সিজদায় উভয় হাত মাটিতে কান বরাবর রাখা ৭৮১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছেন তিনি যখন সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করলেন তখন উভয় হাত উঠিয়ে তাকবীর বললেন। রাবী হাম্মাম বলেন, উভয় হাত কান বরাবর উঠালেন। তারপর কাপড়ে ঢেকে নিলেন (গায়ে চাঁদর দিলেন)। তারপর তার ডান হাত বাম হাতের উপর রাখলেন। তারপর রুকু করার সময় তার উভয় হাত কাপড় থেকে বের করলেন। পরে উভয় হাত উঠালেন এবং তাকবীর বলে রুকুতে গেলেন। যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বললেন , তখন উভয় হাত তুললেন। পরে উভয় হাতের মাঝখানে সিজদা করলেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১৩) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭২১ ১২২. রাফউল ইয়াদাইন (নামাযের মধ্যে উভয় হাত উপরে উঠানো) ৭২১. আহমদ ইবনু হাম্বল ............. সালেম থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায আরম্ভ করার সময় তার দুহাত স্বীয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। অনুরূপভাবে এবং রুকূ করার সময় এবং রুকূ হতে মাথা উঠানোর পরও তাকে হাত উঠাতে দেখেছি। কিন্তু তিনি দুই সিজদার মাঝে হাত উঠাতেন না- (বুখারী, মুসলিম,তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১৪) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭২২ ১২২. রাফউল ইয়াদাইন (নামাযের মধ্যে উভয় হাত উপরে উঠানো) ৭২২. ইবনুল মূসাফফা আল-হিমসী ........ আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে দাঁড়ানোর সময় নিজের দুই হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন। তাকবীর বলে রুকুতে যেতেন এবং দুই হাতের উপরে তুলতেন। রুকূ হতে উঠার সময়ও স্বীয় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলতেন। তিনি সিজদার মধ্যে হাত উঠাতেন না এবং প্রত্যেক রুকূর জন্য তাকবীর বলার সময় হাত উঠাতেন এবং এইরূপে নামায শেষ করতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১৫) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭২৩ ১২২. রাফউল ইয়াদাইন (নামাযের মধ্যে উভয় হাত উপরে উঠানো) ৭২৩. উবায়দুল্লাহ্ ইবনু উমার .......... আবূ ওয়ায়েল ইবনু হূজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে নামায আদায় করি তাকবীর বলার সময় নিজের দুই হাত উঠাতেন পরে তিনি তার হাত কাপড়ের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে ডান হাত দিয়ে বাম হাত ধরতেন। রাবী বলেন, অতঃপর যখন রুকূর ইরাদা করেন, তখন স্বীয় হাত দু’খানা বের করে উপরে উঠাতেন। তিনি রুকু হতে মাথা উঠানোর সময়ও দুই হাত উপরে উঠান। অতঃপর তিনি সিজদায় যান এবং স্বীয় চেহারা দুই হাতের তালুর মধ্যবর্তী স্হানে স্হাপন করেন। অতঃপর তিনি সিজদা হতে মাথা উঠাবার সময়ও স্বীয় হাত দুইখানা উত্তোলন করেন। এভাবে তিনি তাঁর নামায শেষ করেন। রাবী মুহাম্মাদ বলেন, এসম্পর্কে আমি হাসান ইবনু আবূল হাসানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এমনি ছিল রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায আদায়ের নিয়ম। যে ব্যক্তি এর অনুসরণ করেছে- সে তো করেছে এবং যে ব্যক্তি তা ত্যাগ করেছে- সে তো তা ত্যাগ করেছে- (মুসলিম)। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাম- . ইবনু জাহাদা হতে বর্ণ্না করেছেন। কিন্তু ঐ বর্ণনায় সিজদা হতে মাথা উঠানোর সময় হাত উঠাবার কথা উল্লেখ নেই। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১৬) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭২৪ ১২২. রাফউল ইয়াদাইন (নামাযের মধ্যে উভয় হাত উপরে উঠানো) ৭২৪. মূসা’দ্দাদ ........ আব্দুল জব্বার ইবনু ওয়ায়েল বলেন, আমার পরিবারের লোকেরা আমার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আমার পিতা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাকবীর বলার সময় দুই হাত উঠাতে দেখেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১৭) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭২৬ ১২২. রাফউল ইয়াদাইন (নামাযের মধ্যে উভয় হাত উপরে উঠানো) ৭২৬. মূসা’দ্দাদ ........... ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায পড়ার নিয়ম দেখাব। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলে নিজের উভয় হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় বাম হাত ডান হাত দিয়ে ধরেন এবং রুকূ করার সময় উভয় হাত ঐরূপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি তাঁর দুই হাত দুই হাটুর উপর রাখেন। রুকূ হতে মাথা উঠাবার সময় তিনি উভয় হাত তদ্রুপ উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি সিজদায় স্বীয় মাথা দুই হাতের মধ্যবর্তী স্হানে রাখেন এবং বাম পা বিছিয়ে বসেন। অতঃপর তিনি তাঁর বাম হাত বাম রানের উপর এবং ডান হাত ডান রানের উপর বিচ্ছিন্নভাবে রাখেন। পরে তিনি স্বীয় ডান হাতের কনিষ্ঠ ও অনামিকা অংগুলিদ্বয় আবদ্ধ করে রাখেন এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাংগুলি বৃত্তাকার করেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি (তর্জনী) দ্বারা ইাশারা করেন- (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)। আমি তাদেরকে এভাবে বলতে দেখেছি। আর বিশর নিজের মধ্যমা ও বৃদ্ধাগুলি দ্বারা বৃত্ত করেন এবং তর্জনী দ্বারা ইশারা করেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১৮) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৩০ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা। ৭৩০. আহমদ ইবনু হাম্বল ........... মুহাম্মাদ ইবনু আমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুমায়েদ আস-সাইদী (রাঃ) -কে দশজন সাহাবীর উপস্হিতিতে যাদের মধ্যে আবূ কাতাদা (রাঃ)- ও ছিলেন- বলতে শুনেছিঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায সম্পর্কে আপনাদের চেয়ে সমধিক অবগত আছি। তাঁরা বলেন, তা কিরূপে? আল্লাহর শপথ! আপনি তাঁর - অনুসরণের ও সাহচর্যের দিক দিয়ে আমাদের চাইতে অধিক অগ্রগামী নন। তিনি বলেন, হাঁ। অতঃপর তারা বলেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে দাঁড়াতেন তখন তিনি, তাঁর হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে পূর্ণরূপে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি কিরাআত পাঠের পর তাকবীর বলে রুকূতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আক্বার বলে নিজের উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। রুকূতে গিয়ে তিনি দুই হাতের তালু দ্বারা হাঁটুদ্বয় মজবুতভাবে ধরতেন। অতঃপর তিনি এমনভাবে রুকু করতেন যে, তাঁর মাথা পিঠের সাথে সমান্তরাল থাকত। অতঃপর তিনি মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে স্বীয় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। পুনরায় আল্লাহু আক্বার বলে তিনি সিজদায় গিয়ে উভয় বাহু স্বীয় পাজরের পাশ হতে দূরে সরিয়ে রাখতেন। অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসতেন এবং সিজদার সময় পায়ের আংগুলগুলি নরম করে কিবলামুখী করে রাখতেন। তিনি আল্লাহু আক্বার বলে (দ্বিতীয়) সিজদা হতে উঠে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর সোজা হয়ে বসতেন। অতঃপর তিনি সর্বশেষ রাকাতে স্বীয় বাম পা ডান দিকে বের করে দিয়ে বাম পাশের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তখন তারা সকলে বলেন, হাঁ আপনি ঠিক বলেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই রূপেই নামায আদায় করতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ১৯) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪১ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা। ৭৪১. নাস্র ইবনু আলী .......... নাফে (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তিনি তাকবীর বলে দুই হাত উপরের দিকে উঠাতেন। অতঃপর তিনি রুকূ হতে মাথা তোলার সময় “সামিআল্লাহু নিমান হামিদাহ্” বলতেন। অতঃপর তিনি দুই রাকাত নামায শেষ করার পর যখন দাঁড়াতেন তখন তিনি উভয় হাত উত্তোলন করতেন এবং এই বর্ণনা সূত্র রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌছেছেন (অর্থাৎ হাদীছটি মারফু) (বুখারী)। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সত্য বর্ণনা এই যে, হাদীছটি ইবনু উমার (রাঃ) -র বক্তব্য, মারফু হাদীছ নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, প্রথম হাদীছে দুই রাকাত নামায আদায়ের পর দাঁড়ানোর সময় হাত উঠানো সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে- তা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত নয়। ছাকাফী উবায়দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেছেন এবং এই বর্ণনাসূত্র ইবনু উমার (রাঃ) পর্যন্ত পৌছেছে এবং এখানে এরূপ উল্লেখ হয়েছে যে, যখন তিনি দুই রাকাত নামায সমাপ্তির পর দন্ডায়মান হতেন, তখন উভয় হাত বক্ষ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন এবং এই রিওয়ায়াত সহীহ। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেন, লাইছ, মালিক, আইউব ও ইবনু জুরায়েজ প্রমুখ রাবীগণ এই হাদীছের বর্ণনা সূত্র সাহাবী পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। হাম্মাদ একাই এই হাদীছকে মারফু হাদীছ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। রাবী ইবনু জুরায়েজ বলেন, আমি নাফেকে জিজ্ঞাসা করি যে, ইবনু উমার (রাঃ) তাকবীরে তাহ্রীমা বলার সময় কি তাঁর হাত অন্য সময়ের চাইতে অধিক উত্তোলন করতেন? তিনি বলেন, না; বরং সব সময়ই তিনি একইরূপে হাত উঠাতেন। আমি বলি আমাকে ইশারাপূর্বক দেখান। তিনি স্বীয় বক্ষদেশ বা তার চাইতে কিছু নীচে পর্যন্ত ইশারা করে দেখান। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২০) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪২ ১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা। ৭৪২. আল-কানাবী ............ নাফে (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) নামায আরম্ভের প্রাক্কালে স্বীয় হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করলেন। তিনি রুকূ হতে মাথা উঠাবার সময় হস্তদ্বয়কে একটু কম উপরে উঠাতেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমার জানামতে রাবী মালিক ব্যতীত আর কেউ হস্ত কম উত্তোলনের কথা উল্লেখ করেননি। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২১) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪৩ ১২৪. দুই রাকআত শেষে উঠার সময় দুই হাত উত্তোলন (রাফউল ইয়াদাইন) সম্পর্কে। ৭৪৩. উছমান ইবনু আবূ শায়বা ............ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাযের দুই রাকাত আদায়ের পর দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলে উভয় হাত উত্তোলন করতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২২) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪৩ ১২৪. দুই রাকআত শেষে উঠার সময় দুই হাত উত্তোলন (রাফউল ইয়াদাইন) সম্পর্কে। ৭৪৩. উছমান ইবনু আবূ শায়বা ............ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাযের দুই রাকাত আদায়ের পর দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলে উভয় হাত উত্তোলন করতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২৩) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪৪ ১২৪. দুই রাকআত শেষে উঠার সময় দুই হাত উত্তোলন (রাফউল ইয়াদাইন) সম্পর্কে। ৭৪৪. আল-হাসান ইবনু আলী ............. আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ফরয নামাযে দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলে স্বীয় হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন এবং কিরাআত শেষ করার পর রুকূতে গমনকালে এবং রুকূ হতে উঠবার সময় অনুরূপ করতেন। তিনি বসে নামায পড়াকালে এরূপ হাত তুলতেন না। যখন সিজদার পর দন্ডায়মান হতেন, তখন হাত উঠিয়ে তাকবীর বলতেন- (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, তিরমিযী)। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ হুমায়েদ আস-সাইদী (রাঃ) -র হাদীছে বর্ণিত আছে যে, যখন তিনি দুই রাকাত নামায সমাপ্তির পর দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলে স্বীয় হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন যেরূপ তিনি নামায আরম্ভের সময় উঠাতেন। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ২৪) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৪৫ ১২৪. দুই রাকআত শেষে উঠার সময় দুই হাত উত্তোলন (রাফউল ইয়াদাইন) সম্পর্কে। ৭৪৫। হাফস ইবনু উমার ........... মালিক ইবনুল-হুয়ায়রিছ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- কে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাত উঠাতে দেখেছি। আমি তাকে রুকূতে গমনকালে এবং তা হতে উঠার সময় স্বীয় হস্তদ্বয় কানের উপরিভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি- (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২৫) সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৭৬১ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে। ৭৬১. আল-হাসান ইবনু আলী ........ আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ফরয নামাযের জন্য দন্ডায়মান হতেন তখন তাকবীরে তাহরীমা বলে উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। কিরাআত পড়ার পর রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ হতে উঠার সময়ও তিনি অনুরূপ করতেন (কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাতেন)। বসা অবস্হায় তিনি হাত উঠাতেন না। তিনি দুটি সিজদা করার পর (দুই রাকাত শেষ করার পর) উঠার সময় অনুরূপভাবে হাত উঠাতেন এবং তাকবীর বলে পূর্ববর্তী হাদীছে উল্লেখিত দোয়া পাঠ করতেন। এই হাদীছের মধ্যে দোয়ায় কিছুটা কম-বেশী আছে এবং “ওয়াল-খায়রু কুল্লুহু ফী ইয়াদাইকা ওয়াশ-শাররু লায়সা ইলাইকা”- বাক্যটির উল্লেখ নাই। রাবী আব্দুর রহমান এই হাদীছে আরও উল্লেখ করেছেন যে, নামায শেষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " (আল্লাহুমাগফিরলী মা কাদ্দামতু ওয়া আখ্খারতু ওয়া আসরারতু ওয়া আলানতু আনতা ইলাহী লা ইলাহা ইল্লা আনতা।) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ২৬) সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ৩০৪ এই বিষয়ে আরেকটি অনুচ্ছেদ। ৩০৪. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার এবং মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আবূ কাতাদা ইবনু রিবঈও ছিলেন যাঁদের মধ্যে উপস্থিত, সেই ধরনের দশজন সাহাবীর এক সমাবেশে আমি আবূ হুমায়দ আস-সায়িদীকে বলতে শুনেছিঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের মধ্যে আমি অধিক অবহিত। উপস্থিত সাহাবীরা বললেনঃ আপনি তো আমাদের তুলনায় প্রবীণ নন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে আমাদের চেয়ে বেশি আসা-যাওয়া করেননি। আবূ হুমায়দ (রহঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, আমি অধিক পরিজ্ঞত। সাহাবীরা বললেনঃ আচ্ছা, এই কথা উপেক্ষা করুন। আবূ হুমায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়াতেন তখন সোজা হয়ে দাঁড়াতেন এবং কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন। পরে যখন রুকূতে যেতে চাইতেন তখন কাঁধ বরাবর তাঁর দুই হাত তুলতেন এবং ‘‘আল্লাহু আকবার’’ বলে রুকূ করতেন। পিঠ স্থির ও সোজা করে রাখতেন, মাথা নিচে ঝুঁকিয়ে রাখতেন না এবং উপরে তুলেও রাখতেন না। রুকূতে দুই হাত রাখতেন দুই হাঁটুর উপর। পরে ‘‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’’ বলে দুই হাত তুলতেন এবং এমনভাবে স্থির হয়ে দাঁড়াতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। এরপর সিজদার উদ্দেশ্যে ভূমিতে অবনত হতেন এবং বলতেন, ‘‘আল্লাহু আকবার’’। তাঁর দুই বাহু বগল থেকে সরিয়ে রাখতেন। পায়ের আঙ্গুলি (সামনের দিকে) ভাঁজ করে রাখতেন। পরে বাম পা ঘুরিয়ে তার উপর এমনভাবে স্থির হয়ে বসতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। পরে আবার সিজদার জন্য ঝুঁকতেন এবং ‘‘আল্লাহু আকবার’’ বলতেন। এরপর পা ঘুরিয়ে তার উপর এমনভাবে স্থির হয়ে বসতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। এরপর উঠে দাঁড়াতেন। পরে দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপ আমল করতেন। দুই রাকআত শেষ করে যখন দাঁড়াতেন তখনও কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন সালাতের শুরুতে যেমন কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন। সব রাকআতে এভাবেই আমল করতেন। পরে যে রাকআতে সালাত শেষ হতো তাতে বাম পাটি বের করে নিতম্বের উপর বসতেন। এরপর সালাম ফিরাতেন। - ইবনু মাজাহ ১০৬১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২৭) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১১/ নামাজ শুরু করা (كتاب الافتتاح) হাদিস নম্বরঃ ৮৭৯ ১/ নামাযের প্রারম্ভিক কাজ। ৮৭৯। আমর ইবন মানসুর ও আহমদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন মুগীরা ... ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, তিনি যখন নামাযে তাকবীর শুরু করতেন তখন তাকবীরের সময় তার দু'হাত উঠাতেন এবং দুই হাতখানাকে উভয় কাঁধ বরাবর করতেন। আর যখন রুকু করবার জন্য তাকবীর বলতেন তখনো এরূপ করতেন। এরপর যখন "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলতেন তখনো এমন করতেন এবং বলতেন- رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ আর যখন তিনি সিজদাহ করতেন তখন এবং যখন সিজদাহ থেকে মাথা উঠাতেন তখন এমন করতেন না। সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৫৮৫, বুখারি হাঃ ৭৩৮, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৭৫৮-৭৫৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২৮) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১১/ নামাজ শুরু করা (كتاب الافتتاح) হাদিস নম্বরঃ ৮৮০ ২/ তাকবীর বলার পূর্বে উভয় হাত উঠানো। ৮৮০। সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ... ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, যখন তিনি নামাযের জন্য দাঁড়াতেন দুই হাত উঠাতেন। এমনকি তার দুই হাত দুই কাঁধ বরাবর হয়ে যেত। এর পর তিনি তাকবীর বলতেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এমন করতেন যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন। আর যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনো এমন করতেন আর বলতেন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ আর তিনি সিজদায় এমন করতেন না। সহিহ, [পূর্বের হাদিস দ্রষ্টব্য] হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ২৯) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১১/ নামাজ শুরু করা (كتاب الافتتاح) হাদিস নম্বরঃ ৮৮১ ৩/ উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত তোলা। ৮৮১। কুতায়বা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন দু'কাঁধ পর্যন্ত তার দু হাত তুলতেন। আর যখন রুকু করতেন এবং রুকু থেকে মাথা তুলতেন তখনো দু' হাত এভাবে তুলতেন এবং বলতেন- سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ আর তিনি সিজদার সময় এরূপ করতেন না। সহিহ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩০) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১১/ নামাজ শুরু করা (كتاب الافتتاح) হাদিস নম্বরঃ ৮৮৩ ৪/ কান পর্যন্ত উভয় হাত উঠানো। ৮৮৩। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আলা (রহঃ) ... মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম সাহাবী তাঁর থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আদায় করতেন তখন তার উভয় হাত কান পর্যন্ত তুলতেন। আর যখন তিনি রুকু করার ইচ্ছা করতেন, আর যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন (তখনও এরূপ করতেন)। সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৮৫৯, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৭৬২ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩১) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১১/ নামাজ শুরু করা (كتاب الافتتاح) হাদিস নম্বরঃ ৮৮৪ ৪/ কান পর্যন্ত উভয় হাত উঠানো। ৮৮৪। ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি যে, যখন তিনি সালাত আরম্ভ করতেন তখন তাঁর হাতদ্বয় উঠাতেন। আর যখন রুকু করতেন, এবং রুকু থেকে তাঁর মাথা তুলতেন তখন হাতদ্বয় উভয় কানের নিম্নভাগ (লতি) এর বরাবর হয়ে যেত। সহিহ, আবু দাউদ হাঃ ৩৩০, ইরউয়াউল গালীল ২/৬৭, সিফাতুস সালাত। বুখারি হাঃ ৭৩৭, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৭৬২-৭৬৩ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩২) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১১/ নামাজ শুরু করা (كتاب الافتتاح) হাদিস নম্বরঃ ৮৯২ ১১/ নামাযে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখার স্থান। ৮৯২। সুওয়ায়দ ইবনু নাসর (রহঃ) ... ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, আমি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের প্রতি, তিনি কিরূপে সালাত আদায় করেন। আমি তার দিকে তাকালাম। তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীর বললেন এবং তার হস্তদ্বয় উত্তোলন করলেন। আর হস্তদ্বয় কর্ণদ্বয়ের বরাবর হল। তারপর তিনি তার ডান হাত রাখলেন বাম হাতের উপর অর্থাৎ এক কব্জি অন্য কব্জির ওপর কিংবা এক হাত অন্য হাতের উপর রাখলেন। যখন তিনি রুকু করার ইচ্ছা করলেন হস্তদ্বয় পূর্বের মত উঠালেন। রাবী বলেন, তিনি হস্তদ্বয় স্থাপন করলেন তাঁর দু'হাঁটুর উপর। এরপর যখন তিনি রুকু থেকে মাথা উঠালেন তখন তদ্রুপ হাত উঠালেন। এরপর তিনি সিজদা করলেন, তিনি তাঁর হাতের তালু-দ্বয় স্থাপন করলেন তাঁর উভয় কান বরাবর। তারপর তিনি বসলেন, তিনি বিছিয়ে দিলেন তাঁর বাম পা। আর তাঁর বাম হাতের তালু রাখলেন তার বাম পায়ের ও রানের উপর। আর ডান কনূইর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ডান রানের উপর রাখলেন। পরে তাঁর দু'টি অঙ্গুলী (বৃদ্ধ ও মধ্যমা) টেনে তা দিয়ে বৃত্তাকার বানালেন এবং তারপর একটি অঙ্গুলী (তর্জনী) উঠালেন। আমি দেখলাম, তিনি তা নাড়ছেন (ইশারার জন্য) এবং তা দ্বারা দোয়া করছেন। সহিহ, আবু দাউদ হাঃ ৭১৭, ইরউয়াউল গালীল ২/৬৮,-৬৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩৩) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১২/ তাত্ববীক [রুকুতে দু'হাত হাঁটুদ্বয়ের মাঝে স্থাপন] করা (كتاب التطبيق) হাদিস নম্বরঃ ১০৬০ ১৯/ রুকু হতে উঠার সময় কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো। ১০৬০। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আরম্ভ করতেন তখন কাঁধ পর্যন্ত তার উভয় হাত উঠাতেন। আর যখন তিনি রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন। যখন তিনি সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন, তখন রাব্বানা লাকাল হামদ বলতেন। আর তিনি দু'সিজদার মধ্যে হাত উঠাতেন না। সহিহ, বুখারি হাঃ ৭৩৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৭৫৮ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩৪) সূনান নাসাঈ (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১২/ তাত্ববীক [রুকুতে দু'হাত হাঁটুদ্বয়ের মাঝে স্থাপন] করা (كتاب التطبيق) হাদিস নম্বরঃ ১০৬২ ২১/ রুকু হতে মাথা উঠানোর সময় ইমাম কি বলবেন? ১০৬২। সুয়ায়দ ইবনু নাসর (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আরম্ভ করতেন, তখন তার হাতদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। আর যখন রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন এবং রুকু থেকে তাঁর মাথা উঠাতেন, তখন হাতদ্বয় এরূপপ উঠাতেন এবং বলতেন, “সামিয়াহল্লাহু লিমান হামিদা, রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ। আর তিনি সিজদায় এরুপ করতেন না। সহিহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩৫) সুনানে ইবনে মাজাহ অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) হাদিস নম্বরঃ ৮৫৮ ৫/১৫. রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে মাথা তুলতে রাফউল ইয়াদাইন করা। ১/৮৫৮। ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি যে, তিনি সালাত শুরু করতে তাঁর দু হাত তাঁর দু কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন, তিনি রুকূতে যেতে এবং রুকূ থেকে মাথা তুলতেও তাই করতেন, কিন্তু দু সাজদাহর মাঝখানে হাত উত্তোলন করতেন না। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৭৩৫-৩৬, ৭৩৮-৩৯; মুসলিম ৩৯০/১-২, তিরমিযী ২৫৫, নাসায়ী ৮৭৬-৭৮, ১০২৫, ১০৫৯, ১০৮৮, ১১৪৪; আবূ দাঊদ ৭২১-২২, ৭৪১; আহমাদ ৪৫২৬, ৪৬৬০, ৫০৬১, ৫২৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৬৫, দারিমী ১২৫০, ১৩০৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭১২, ৭১৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩৬) সুনানে ইবনে মাজাহ অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) হাদিস নম্বরঃ ৮৫৯ ৫/১৫. রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে মাথা তুলতে রাফউল ইয়াদাইন করা। ২/৮৫৯। মালিক ইবনুল হুয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবীরে তাহরীমা বলতেন তখন তাঁর দু হাত তাঁর উভয় কানের কাছাকাছি পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি রুকূতে যেতেও তাই করতেন এবং রুকূ থেকে মাথা তুলতেও অনুরূপ করতেন। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৭৩৭, মুসলিম ৩৯১-২, নাসায়ী ৮৮০-৮১, ১০২৪, ১০৫৬, ১০৮৫; আবূ দাঊদ ৭৪৫, আহমাদ ১৫১৭২, ২০০০৭; দারিমী ১২৫১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওযা ৬৭ সহীহ আবী দাউদ ৭৩০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩৭) সুনানে ইবনে মাজাহ অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) হাদিস নম্বরঃ ৮৬২ ৫/১৫. রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে মাথা তুলতে রাফউল ইয়াদাইন করা। ৫/৮৬২। আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের চেয়ে অধিক অবগত। তিনি যখন সালাতে দাঁড়াতেন সোজা হয়ে দাঁড়াতেন এবং তাঁর দু হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন, অতঃপর আল্লাহু আকবার বলতেন। তিনি যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনও তাঁর দু হাত তাঁর দু কাঁধ বরাবর উঠাতেন। অতঃপর তিনি যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন, তাঁর দু হাত উত্তোলন করতেন এবং সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি দ্বিতীয় রাক্আতে দু সাজাদাহ থেকে যখন দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু হাত তার কাঁধ বরাবর উঠাতেন, যেমনটি তিনি সালাত শুরু করার সময় করতেন। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৮২৮, তিরমিযী ২৬০, ৩০৪; নাসায়ী ১০৩৯, ১১৮১; আবূ দাঊদ ৭৩০, ৯৬৩; আহমাদ ২৩০৮৮, দারিমী ১৩০৭, ১৩৫৬; মাজাহ ৮৬৩, ১০৬১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩৮) সুনানে ইবনে মাজাহ অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) হাদিস নম্বরঃ ৮৬৮ ৫/১৫. রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে মাথা তুলতে রাফউল ইয়াদাইন করা। ১১/৮৬৮। আবূয যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) যখন সালাত শুরু করতেন, তখন তার উভয় হাত উপরে উঠাতেন। তিনি যখন রুকূ করতেন এবং রুকূ থেকে তার মাথা উঠাতেন, তখনও অনুরূপ করতেন। তিনি বলতেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ করতে দেখেছি। অধস্তন রাবী ইবরাহীম ইবনু তাহমান (রহঃ) তার দু হাত তার দু কান পর্যন্ত উঠালেন। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৩৯) সুনানে ইবনে মাজাহ অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة) হাদিস নম্বরঃ ১০৬১ ৫/৭২. সলাতকে পূর্ণাঙ্গ করা। ২/১০৬১। মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আতা (রহ ) বলেন, আমি আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ) কে আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের (নামাযের) ব্যাপারে আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞাত। তারা বলেন, তা কিভাবে? আল্লাহ্র শপথ! আপনি আমাদের চেয়ে অধিক কাল তাঁর অনুসরণকারী নন এবং তাঁর সাহচর্য লাভের দিক থেকেও আমাদের অগ্রগামী নন। তিনি বলেন, হ্যাঁ। তারা বলেন, তাহলে আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে (নামাযে) দাঁড়িয়ে তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন, তারপর তাঁর উভয় হাত তাঁর দু কাঁধ বরাবর উঠাতেন এবং তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যর্ঙ্গ স্ব স্ব স্থানে স্থির থাকতো। অতঃপর তিনি কিরাআত পড়তেন, অতঃপর তাকবীর বলে তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর তাঁর উভয় হাত উঠাতেন। তারপর তিনি রুকূ করতেন এবং রুকূতে তাঁর উভয় হাত যথাযথভাবে দু হাঁটুর উপর রাখতেন, তাঁর মাথা অধিক উঁচু বা নীচু না করে সমানভাবে রাখতেন। অতঃপর তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে উভয় হাত উভয় কাঁধ বরাবর উঠাতেন, এমনকি তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্ব স্ব স্থানে স্থির হয় যেতো। অতঃপর তিনি যমীনের দিকে (সাজদাহয়) ঝুঁকে যেতেন এবং পার্শ্বদেশ থেকে উভয় হাত আলাদা রাখতেন, তারপর মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসতেন এবং সাজদাহর সময় উভয় পায়ের আঙ্গুলগুলো ভাঁজ করে খাড়া রাখতেন, তারপর সাজদাহ করতেন, অতঃপর তাকবীর বলে (সাজদাহ্ থেকে উঠে) বাম পায়ের উপর বসতেন, এমনকি তাঁর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বস্থানে স্থির হয়ে যেত। অতঃপর তিনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকআতেও প্রথম রাকআতের অনুরূপ করতেন। তিনি দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়ানোর সময় তাঁর উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন, যেমন উঠাতেন সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করার সময়। তিনি অবশিষ্ট সালাত (নামায/নামাজ) এভাবে পড়তেন। শেষ সাজদাহ করে তিনি সালাম ফিরিয়ে এক পা আগে-পিছে করে, বাম দিকের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তারা বলেন, আপনি যথার্থই বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবেই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৮২৮, তিরমিযী ২৬০, ৩০৪; নাসায়ী ১০৩৯, ১১৮১; আবূ দাঊদ ৭৩০, ৯৬৩; আহমাদ ২৩০৮৮, দারিমী ১৩০৭, ১৩৫৬; ইবনু মাজাহ ৮৬২, ৮৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩০৫, সহীহ আবী দাউদ ৭২০, ৭২১। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৪০) সুনান আদ-দারেমী অধ্যায়ঃ ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১২৮৩ ৪১. রুকূ’ ও সিজদায় ‘রফউল ইয়াদাইন’ (উভয় হাত উত্তোলণ) প্রসঙ্গে ১২৮৩. মালিক ইবনুল হুয়াইরিছ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাকবীর দিতেন তখন তাঁর উভয় হাত কান বরাবর উত্তোলন করতেন, আবার তিনি যখন রুকূ’ করার ইচ্ছা করতেন, (তখনও তাঁর উভয় হাত কান বরাবর উত্তোলন করতেন) এবং যখন রুকূ’ হতে মাথা উত্তোলন করতেন, (তখনও তাঁর উভয় হাত কান বরাবর উত্তোলন করতেন)।[] [] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৭৩৭; সহীহ মুসলিম ৩৯১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৬৩, ১৮৭৩ তে। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৪১) সুনান আদ-দারেমী অধ্যায়ঃ ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১৩৪৪ ৭১. রুকু’ হতে মাথা উঠিয়ে যা বলতে হয় ১৩৪৪. সালিমের পিতা (আব্দুল্লাহ ইবনু উমার) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন কাঁধ বরাবর তাঁর উভয় হাত উঠাতেন, এরপর যখন রুকূ’ করতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন রুকূ’ হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন, এবং বলতেন, ‘সামি’য়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’, আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ্। কিন্তু তিনি সাজদায় এরূপ করতেন না।[] [] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী। তবে হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন। তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৭৩৫; মুসলিম ৩৯০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪২০, ৫৪৮০, ৫৫৩৪, ৫৫৬৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৬১, ১৮৬৪, ১৮৬৮, ১৮৭৭ এ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৪২) সুনান আদ-দারেমী অধ্যায়ঃ ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১৩৯৩ ৯২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাতের বৈশিষ্ট্য ১৩৯৩. আতা রাহি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দশ জন সাহাবী- যাদের মাঝে আবী কাতাদাও ছিলেন, তাঁদের উপস্থিতিতে আবী হুমাইদ আস সাঈদীকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাতের ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমি অধিক অবগত আছি। তখন তাঁরা বললেন, কি কারণে? আপনি তো আমাদের চেয়ে তাঁকে অধিক অনুসরণ করেননি, আর তাঁর সান্নিধ্য লাভের ব্যাপারেও আপনি আমাদের থেকে অগ্রগামী নন, (তাহলে)? তিনি বললেন, হাঁ। তাঁরা বললেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বললেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতে দাঁড়াতেন তখন তিনি তাঁর উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন, এরপর তাকবীর দিতেন। এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে স্থির হয়ে যেতো। এরপর তিনি কিরা’আত করতেন, এরপর রুকূ’র জন্য তাকবীর দিতেন ও তাঁর দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, এরপর রুকূ’তে যেতেন এবং তাঁর দু’ হাতের তালু দু’ হাঁটুর উপর স্থাপন করতেন এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে ফিরে আসতো। আর তাঁর মাথাকে (পিঠের চেয়ে) নিচু করতেন না, আবার উঁচুও করতেন না (সমান করে রাখতেন)। এরপর তিনি তাঁর মাথা উঠাতেন এবং বলতেন: ‘সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ এবং তাঁর দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন।- (রাবী) আবু আসিমের ধারণা, তিনি আরও বলেছেন, এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে যথাযথভাবে ফিরে আসতো। এরপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মাটির দিকে ঝুঁকে যেতেন এবং (সিজদায় গিয়ে) তাঁর দু’হাত দু’পাঁজর হতে পৃথক করে রাখতেন। এরপর (এভাবে) সিজদা করতেন। তারপর মাথা উঠাতেন এবং বাম পা ভাঁজ করে তার উপর বসতেন। আর সিজদার সময় তাঁর পায়ের আঙ্গুল সমূহ খুলে দিতেন। এরপর তিনি পূনরায় সাজদা করতেন। এরপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মাথা উঠাতেন ও বাম পা ভাঁজ করে তার উপর স্থিরভাবে বসতেন, এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে যথাযথভাবে ফিরে আসতো। এরপর দাঁড়িয়ে যেতেন এবং অপর রাকা’আতেও এরূপ করতেন। আর যখন (বৈঠক শেষে) দ্বিতীয় রাকা’আত হতে দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলতেন ও তাঁর উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন, যেমন করতেন তিনি সালাত শুরু করার সময়। তারপর তাঁর অবশিষ্ট সালাত এরূপভাবে আদায় করতেন। যখন শেষ শেষ রাকা’আত বা সালামের (শেষ) বৈঠক আসতো, তখন বাম পা পিছিয়ে দিয়ে বাম পাশের নিতন্বের উপর ভর দিয়ে বসতেন।রাবী বলেন, তাঁরা বললেন: আপনি সত্যই বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত এরূপই ছিল।[] [] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৬৫-১৮৬৭; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪৪২ ও ৪৯১-৪৯৫ এ। ((বাইহাকী ২/১১৬; আহমাদ ৫/৪২৪; আবু দাউদ ৭৩০, ৭৬৩; তিরমিযী ৩০৪; বাগাবী, শারহুসু সুন্নাহ ৩/১ নং ৫৫৫-; নাসাঈ ৩/৩৪-৩৫; ইবনু খুযাইমা ১/২৯৭ নং ৫৮৭; ইবনু মাজাহ ১০৬১.... মাওয়ারিদ নং ৪৪২ এ মুহাক্বিক্বের টীকা হতে।- অনুবাদক)) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৪৩) সুনান আদ-দারেমী অধ্যায়ঃ ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১৩৯৪ ৯২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাতের বৈশিষ্ট্য ১৩৯৪. ওয়ায়িল ইবনু হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, আমি নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত দেখেছি, তিনি কিভাবে সালাত আদায় করতেন। তখন আমি তার দিকে দেখতে লাগলাম, তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীর দিয়ে তাঁর উভয় হাত তাঁর কান বরাবর উঠালেন, এরপর ডান হাত বাম হাতে তালুর পিঠের উপর স্থাপন করলেন। তিনি বলেন, এরপর যখন রুকূ’ করার ইচ্ছা করলেন, তখন আগের মতো দু’হাত উঠালেন ও তাঁর দু’হাত দু’হাঁটুর উপর স্থাপন করলেন। এরপর (রুকূ’ হতে) মাথা উঠানোর সময়ও অনুরূপভাবে দু’হাত উঠালেন। এরপর সাজদা করলেন এবং তাঁর হাত দু’টিকে কান বরাবর রাখলেন। এরপর (রুকূ’ হতে) উঠে বাম পা বিছিয়ে বসলেন ও বামহাতের তালু তার বাম উরু ও হাঁটুর উপর রাখলেন এবং তার ডান কনুই ডান উরুর উপর স্থাপন করলেন। এরপর তিনি কনিষ্ঠ ও অনামিক আঙ্গুল দু’টিকে আবদ্ধ করে রাখেন। এরপর একটি (বৃদ্ধাঙ্গুল ও মধ্যমা অাঙ্গুল দ্বারা) একটি বৃত্তাকার বানান। এরপর (তর্জনী) আঙ্গুল উঠিয়ে রাখেন। আর আমি তাকে সেটা নাড়াতে দেখলাম, যা দিয়ে তিনি দু’আ করছিলেন।এর কিছুদিন পর আমি সেখানে অত্যন্ত ঠাণ্ডার সময় গিয়ে দেখতে পাই যে, লোকেরা তাদের শরীরে কাপড় জড়িয়ে রয়েছেন এবং স্ব-স্ব কাপড়ের নিচ দিয়েই তাদের হাত গুলি নড়াচড়া করছিল।[] [] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৬০; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪৮৫; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯০৯ এ। ((আবু দাউদ ৭২৭; আহমদ ৪/৩১৮; নাসাঈ ২/১২৬;, ৩/৩৭; বাইহাকী ২/১৩২; ইবনু খুযাইমা ১/২৪৩ নং ৪৮০; দারুকুতনী ১/৯২; তাবারাণী ২২/৩৫... মাওয়ারিদ নং ৪৮৫ এ মুহাক্বিক্বের টীকা হতে।- অনুবাদক)) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৪৪) মুসনাদে আহমেদ অধ্যায়ঃ মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب) হাদিস নম্বরঃ ৭১৭ পরিচ্ছেদ নেই ৭১৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফরয নামায পড়তে দাঁড়াতেন, তখন কাঁধ বরাবর হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলতেন, তারপর কিরায়াত শেষে রুকুতে যাওয়ার আগেও তদ্রুপ করতেন। রুকু থেকে মাথা তুলেও তদ্রুপ করতেন। বসা অবস্থায় নামাযের কোন অংশে তিনি হাত উঁচু করতেন না। তারপর যখন দুই সিজদা শেষে উঠে দাঁড়াতেন, তখন পুনরায় হাত তুলতেন ও তাকবীর বলতেন। [মুসনাদ আহমাদ ৭২৯, ৮০৩, ৮০৪, ৮০৫, ৯৬০] হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ৪৫) মুসনাদে আহমেদ অধ্যায়ঃ মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب) হাদিস নম্বরঃ ৮০৩ পরিচ্ছেদ নেই ৮০৩। হাদীস নং ৭১৭ দ্রষ্টব্য। ৭১৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফরয নামায পড়তে দাঁড়াতেন, তখন কাঁধ বরাবর হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলতেন, তারপর কিরায়াত শেষে রুকুতে যাওয়ার আগেও তদ্রুপ করতেন। রুকু থেকে মাথা তুলেও তদ্রুপ করতেন। বসা অবস্থায় নামাযের কোন অংশে তিনি হাত উঁচু করতেন না। তারপর যখন দুই সিজদা শেষে উঠে দাঁড়াতেন, তখন পুনরায় হাত তুলতেন ও তাকবীর বলতেন। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ৪৬) মুসনাদে আহমেদ অধ্যায়ঃ মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب) হাদিস নম্বরঃ ৮০৪ পরিচ্ছেদ নেই ৮০৪। হাদীস নং ৭১৭ দ্রষ্টব্য। দেখুন পূর্বের হাদিস। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ৪৭) মুসনাদে আহমেদ অধ্যায়ঃ মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب) হাদিস নম্বরঃ ৮০৫ পরিচ্ছেদ নেই ৮০৫। হাদীস নং ৭১৭ দ্রষ্টব্য। [দেখুন ৮০৩ নং হাদীস] হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) ৪৮) মুসনাদে আহমেদ অধ্যায়ঃ মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب) হাদিস নম্বরঃ ৯৬০ পরিচ্ছেদ নেই ৯৬০। ৭১৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। ৭১৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফরয নামায পড়তে দাঁড়াতেন, তখন কাঁধ বরাবর হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলতেন, তারপর কিরায়াত শেষে রুকুতে যাওয়ার আগেও তদ্রুপ করতেন। রুকু থেকে মাথা তুলেও তদ্রুপ করতেন। বসা অবস্থায় নামাযের কোন অংশে তিনি হাত উঁচু করতেন না। তারপর যখন দুই সিজদা শেষে উঠে দাঁড়াতেন, তখন পুনরায় হাত তুলতেন ও তাকবীর বলতেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ৪৯) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১১০৯ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১১০৯(২৮). আবুল কাসেম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) ও ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন, যখন রুকূ করতেন এবং যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, তখন তাঁর হস্তদ্বয় তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন। হাদিসের মানঃ সহীহ ৫০) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮২ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮২(১). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফরয নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন এবং তাঁর উভয় হাত তার কাঁধ বরাবর উঠাতেন। তিনি কিরাআত পড়া শেষ করে যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনও তাই করতেন (হাত উত্তোলন করতেন) এবং যখন রুকূ থেকে উঠতেন তখনও তাই করতেন। তিনি নামাযে বসা অবস্থায় কখনো হাত উঠাতেন না। যখন তিনি দুই সিজদা দিয়ে দাঁড়াতেন তখনও একইভাবে তাঁর দুই হাত উত্তোলন করতেন এবং আল্লাহু আকবার বলতেন। ৫১) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮৩ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮৩(২). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে যিয়াদ (রহঃ) ... সালেম ইবনে আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাঁর দুই হাত তাঁর দুই কাঁধ বরাবর উপরে উঠাতেন, অতঃপর তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন। তিনি যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনও ঐরূপ করতেন এবং যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও ঐরূপ করতেন। যখন তিনি (দ্বিতীয়) সিজদা থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতেন) তখন ঐরূপ করতেন না। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫২) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮৪ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮৪(৩). আল-হুসাইন ইনে ইসমাঈল আল-মুহামিলী (রহঃ) ... সালেম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন তাঁর দুই হাত উপরে উঠাতেন, এমনকি তা যখন তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উন্নীত হতো তখন তাকবীর (তাহরিমা) বলতেন। তিনি যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনও একইভাবে তাঁর দুই হাত তার উভয় কাঁধ বরাবর উন্নীত করতেন, অতঃপর রুকূ করতেন। যখন তিনি (রুকূ থেকে) তাঁর পিঠ উঠানোর ইচ্ছা করতেন তখনও তার দুই হাত দুই কাঁধ বরাবর উন্নীত করতেন। তারপর তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ (যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তা শুনেন) বলতেন। অতঃপর তিনি সিজদা করতেন এবং সিজদায় তার হাত দু’টি উপরে উত্তোলন করতেন না। রুকূর পূর্বে তাঁর প্রতিটি তাকবীর ধ্বনিতে তিনি তার দুই হাত উত্তোলন করতেন, এভাবে তিনি নামায শেষ করতেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫৩) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮৫ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮৫(৪). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি যে, তিনি নামাযের শুরুতে তাঁর দুই হাত দুই কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন, অতঃপর তাকবীর বলতেন। রুকূতে যাওয়ার তাকবীর বলতেও তিনি ঐরূপ করতেন। রুকূ থেকে তাঁর মাথা উঠাতেও অনুরূপ করতেন এবং বলতেনঃ ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ'। তিনি সিজদা থেকে তাঁর মাথা উঠাতে তা (হাত উত্তোলন) করতেন না। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫৪) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮৬ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮৬(৫). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... ইবনে উমার (রাঃ) নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে এই সনদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তিনি (দুই হাত) উত্তোলন করতেন এবং তাকবীর বলতেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫৫) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮৭ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮৭(৬)। আবু বাকর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাঁর দুই হাত দুই কাঁধ বরাবর উপরে তুলতেন এবং তাকবীর বলতেন ... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫৬) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮৮ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮৮(৭). আবু বাকর (রহঃ) ... ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন তখন তার দুই হাত কাঁধ বরাবর অথবা তার কাছাকাছি উত্তোলন করতেন। অতঃপর রাবী পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫৭) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৮৯ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৮৯(৮). আবু বাকর (রহঃ) ... আয-যুহরী (রহঃ) থেকে এই সূত্রে বর্ণিত। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন তাকবীর দ্বারা নামায শুরু করতেন, তখন তাকবীর বলতে বলতে তাঁর দুই হাত দুই কাঁধ বরাবর উপরে উঠাতেন ... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫৮) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৯০ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৯০(৯). আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বাকর আল-ওয়াসিতী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করতেন, এমনকি তা তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উন্নীত হতেই তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন, অতঃপর যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখনও তা তাঁর উভয় কাঁধ পর্যন্ত উন্নীত হতো, অতঃপর এই অবস্থায় তাকবীর বলে রুকূতে যেতেন। অতঃপর যখন তিনি (রুকূ থেকে) নিজের পিঠ উঠানোর ইচ্ছা করতেন তখনও তার হস্তদ্বয় তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উন্নীত করতেন, অতঃপর বলতেনঃ সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ (যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তা শুনেন)। অতঃপর তিনি সিজদা করতেন এবং সিজদার কোন অবস্থায় তিনি তার হস্তদ্বয় উত্তোলন করতেন না। তিনি প্রতি রাকআতে রুকূর পূর্বে তাকবীর বলার সময় তার হস্তদ্বয় উপরে তুলতেন। এই নিয়মে তিনি তাঁর নামায সমাপ্ত করতেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৫৯) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৯১ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৯১(১০). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... নাফে' (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে উমার (রাঃ) কোন ব্যক্তিকে তার নামাযে প্রতিবার উঠতে ও নিচু হতে তার দুই হাত উপরে উঠাতে না দেখলে তার প্রতি কংকর নিক্ষেপ করতেন, যাবত না সে তা উত্তোলন করে। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬০) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৯৩ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৯৩(১২). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি যে, তিনি যখন নামায শুরু করতেন তখন তাঁর দুই হাত উপরে উত্তোলন করতেন, এমনকি তা তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উন্নীত হতো। তিনি যখন রুকূ করার ইচ্ছা করতেন তখনও এবং রুকূ থেকে নিজের মাথা উঠানোর পরও (তাই করতেন)। তিনি (তাশাহহুদে) তাঁর ডান উরুর উপর ডান হাত এবং বাম উরুর উপর বাম হাত রাখেন। তিনি (তাশাহহুদ পড়ার সময় ডান হাতের আঙ্গুলসমূহ দ্বারা) বৃত্ত বানান এবং এভাবে দোয়া করেন। সুফিয়ান (রহঃ) নিজের তর্জনী দ্বারা ইশারা করেন (বুঝিয়ে দেন)। রাবী বলেন, পরে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের নিকট এসে তাদেরকে দেখলাম, তারা শীতকালে তাদের আলখিল্লার মধ্যে তাদের আঙ্গুল উত্তোলন করেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬১) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৯৫ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৯৫(১৪). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... ওয়াইল ইবনে হুজুর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন তাঁর দুই হাত তাঁর দুই কান বরাবর উপরে উত্তোলন করতেন। তিনি যখন রুকূ করতেন এবং যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন তখনও তার দুই হাত উপরে উত্তোলন করতেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬২) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৯৬ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৯৬(১৫). ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... মালেক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন, যখন রুকুতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন এবং রুকু থেকে নিজের মাথা উঠানোর পর নিজ হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করতেন। ইবনে মুবাশশির (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন, যখন রুকূ করার ইচ্ছা করতেন এবং যখন রুকূ থেকে নিজের মাথা উঠাতেন তখন নিজ হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করতেন। আবু আওয়ানা (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন, যখন রুকূ করতেন এবং যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে রুকূ থেকে উঠতেন তখন তার দুই হাত তার কাঁধ বরাবর উপরে উঠাতেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬৩) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৯৭ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৯৭(১৬). দা'লাজ ইবনে আহমাদ (রহঃ) ... আবু মূসা আল-আশ'আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাযের পদ্ধতি দেখাবো? অতএব তিনি তাকবীর (তাহরীমা) বললেন এবং নিজের হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করলেন, অতঃপর রুকূতে যাওয়ার জন্য তাকবীর বললেন এবং নিজের হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করলেন, অতঃপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বললেন, অতঃপর নিজের হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করলেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা অনুরূপ করো। আর তিনি দুই সিজদার মাঝখানে হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করেননি। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬৪) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১০৯৮ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১০৯৮(১৭). দা'লাজ ইবনে আহমাদ (রহঃ) ... হাম্মাদ ইবনে সালামা (রহঃ) থেকে তার সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। আন-নাদর ইবনে শুমাইল ও যায়েদ ইবনুল হুবাব (রহঃ) এই হাদীস হাম্মাদ (রহঃ)-এর সূত্রে মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন এবং অপরাপর রাবী তার থেকে মাওকুফরূপে বর্ণনা করেছেন। আমি আবু জাফর আহমাদ ইবনে ইসহাক ইবনে বাহলুল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, এই হাদীস তিনি আমাদেরকে লিখালেন। তিনি বলেন, ইরাকবাসীদের মাযহাবই আমার মাযহাব। আমি স্বপ্নে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নামায পড়তে দেখেছি। আমি তাকে প্রথম তাকবীরে (তাহরীমায়) তাঁর হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করতে দেখেছি। অতঃপর যখন রুকূ করলেন এবং যখন রুকূ থেকে তাঁর মাথা উঠালেন (তখনও তার হস্তদ্বয় উত্তোলন করেছেন)। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬৫) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১১০১ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১১০১(২০). আবু সাঈদ মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-মারওয়াযী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার মতে ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর নিম্নোক্ত হাদীস প্রমাণিত নয় : “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমবার তাঁর দুই হাত উপরে উত্তোলন করতেন, তারপর আর উত্তোলন করতেন না।” আমার নিকট সেই ব্যক্তির হাদীস প্রমাণিত যাতে আছে : “তিনি যখন রুকূ করতেন এবং যখন রুকূ থেকে তার মাথা উঠাতেন তখনও তার দুই হাত উপরে উত্তোলন করতেন”। ইবনুল মুবারক (রহঃ) বলতেন, উবায়দুল্লাহ আল-উমারী, মালেক, মা'মার, সুফিয়ান, ইউনুস (রহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে আবু হাফসা (রহঃ) এই হাদীস আয-যুহরী-সালেম-তার পিতা-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬৬) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১১০৭ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১১০৭(২৬). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে নামায পড়েন তা দেখার জন্য আমি তাঁর নিকট এলাম। তিনি কিবলামুখী হলেন এবং তাকবীর (তাহরীমা) বলে নিজ হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করেন, এমনকি তা তাঁর উভয় কান পর্যন্ত উন্নীত করেন। তিনি রুকূতে যেতেও নিজ হস্তদ্বয় কান বরাবর উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি রুকূ থেকে নিজের মাথা উঠানোর পরও নিজ হস্তদ্বয় কান বরাবর উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি সিজদায় তার হস্তদ্বয় মাথা বরাবর (মেঝেতে) রাখেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬৭) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১১০৮ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১১০৮(২৭). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তবে তিনি এই রিওয়ায়াতে সিজদার কথা উল্লেখ করেননি। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬৮) সুনান আদ-দারাকুতনী অধ্যায়ঃ ৩. নামায (كتاب الصلاة) হাদিস নম্বরঃ ১১০৯ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা ১১০৯(২৮). আবুল কাসেম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) ও ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন, যখন রুকূ করতেন এবং যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, তখন তাঁর হস্তদ্বয় তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ ৬৯) আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাতের (তাকবীরে তাহরিমার) জন্য তাকবীর বলতেন, তখন কাঁধ বরাবর দু'হাত উঠাতেন, যখন তিনি রুকূ’ করার ইচ্ছা পোষণ করতেন। আর যখন রুকূ’ থেকে তাঁর মাথা উঠাতেন তখনও (ঐরুপ করতেন)। আর যখন দু’রাকাআত শেষে (তৃতীয় রাকাআতের জন্য) উঠতেন তখনও অনুরূপ করতেন।” এটি উত্তম (হাসান) সনদে বর্ণিত হয়েছে। ফুটনোটঃ মুসনাদে আহমাদ (৯১/১), ইমাম তিরমিয়ী (৩৪২৩) একে হাসান সহীহ বলেছেন, ইবনু খুযাইমাহ (৫৮৪), ইবনু হিব্বান (উমদাতুল কারী ২৭৭/৫) উভয়ে তাদের সহীহাইনে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আহমাদ ও অন্যরা এটিকে সহীহ (নির্ভরযোগ্য) বলে মত দিয়েছেন। এর বর্ণনাকারী আবদুর রহমান বিন আবু যিনাদ বিশ্বস্ত (সিকাহ) ও হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে উত্তম ব্যক্তি। ইমাম যাহাবী বলেন, তাঁর স্মৃতিশক্তি খর্ব হওয়ার পূর্বের বর্ণনাগুলো হাসান। (দেখুন সিয়ারে আলামুন নুবালা ৮ম খণ্ড, ১৬৮, ৭০ পৃষ্ঠা)। ইবনুল মাদীনী একে শক্তিশালী (কাউয়ি) বলে মত পোষণ করেছেন। এ বর্ণনাটি আবদুর রহমান বিন আবু যিনাদ এর স্মৃতিশক্তি খর্ব হওয়ার পূর্বেকার। (নূরুল আইনাইন: ৮৩, ৮৪ পৃষ্ঠা) গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৭০) আব্বাস বিন সাহল থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আবু হুমাইদ, আবু উসাইদ ও মুহাম্মদ বিন মাসলমাহ (রাবীত্রয়) একত্রিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের বর্ণনা দিলেন। অতঃপর আবু হুমাইদ বললেন, আমি তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাত সম্পর্কে বেশি জানি। তিনি (সালাতের জন্য) দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলতেন, তখন তাঁর দু' হাত উঠাতেন, এরপর যখন তিনি রুকূ’’র জন্য আল্লাহু আকবার বলতেন তখন দু'হাত উঠাতেন, এরপর তিনি (যখন) রুকূ’ করতেন, তখন তার দু'হাত তাঁর দু'হাঁটুর উপর স্থাপন করতেন” এ হাদীসটি মারফু' ও হাসান। ফুটনোটঃ ইবনু খুযাইমা ৫৮৯, ৬০৮, ৬৩৭, ৬৪০, ৬৮৯, ইবনু হিব্বান। ৪৯৪, তিরমিয়ী ২৬০ সকলেই একে সহীহ বলেছেন। মুহাম্মদ বিন ইয়াহইয়া আয যাহলী বলেন, যে ব্যক্তি এ হাদীস জানার পর রুকূ’র পূর্বে ও পরে রাফ্উল ইয়াদায়ন করবে না, তার সালাত অপূর্ণাঙ্গ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৪ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৭১) আল আব্বাস আস সাঈদী থেকে বর্ণিতঃ আল আব্বাস আস সাঈদী থেকে আমাদেরকে খবর দিচ্ছেন, তিনি বলেন, আমি আবু কাতাদা, আবু উসাইদ ও আবু হুমাইদ এর সঙ্গে বাজারে অবস্থান করছিলাম, এমতাবস্থায় তারা সকলেই বলল, “আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের চেয়ে বেশি জানি। তখন তাদের একজন (আবু উসাইদকে) বললেন, তুমি সালাত আদায় কর। তখন তিনি তাকবীর দিয়ে কিরাআত পাঠ করলেন, এরপর পুনরায় তাকবীর দিয়ে দু'হাত উঠালেন, এরপর তারা (তিনজন) বললেন, তুমি সঠিকভাবেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাত আদায় করেছ।” এ বর্ণনাটি হাসান। ফুটনোটঃ ইবনু ইসহাক মুদাল্লিস, কিন্তু সহীহ ইবনু খুযাইমাতে তার শ্ৰবণের ব্যাপারটিকে বলিষ্ঠ করা হয়েছে। নোট: এটি যে কপি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে, সেই জুযউ রফইল ইয়াদায়নের যহিরিয়্যা নুসখাটি (কপি) তে আবু ইসহাককে সহীহ ইবনু খুযাইমার বরাতে বিশ্বস্ত হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু জুযউ রাফ্উল ইয়াদায়নের ভারতীয় কপিতে আবু ইসহাক সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তিনি বিশুদ্ধ নন। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৫ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৭২) মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর (তাহরীমা) দিয়ে দু'হাত উঠাতেন, আর যখন রুকূ’ করতেন ও রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন।” হাদীসটি মারফু' ও এর সনদ সহীহ। ফুটনোটঃ ইমাম মুসলিম স্বীয় সহীহ এর মধ্যে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। দেখুন হাদীস নং ৬৬। এটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের প্রামাণ্য দলীল যে, আবু কিলাবা (বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী) মালিক বিন হুওয়াইরিসকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর পর রুকূ’র পূর্বে ও পরে রাফ্উল ইয়াদায়ন করতে দেখেছেন। আবু কিলাবার উপর নাবিয়্যান্তের যে অভিযোগ, আর নাসর বিন আসিমের খারেজি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। মালিক বিন হুওয়াইরিস থেকে এমন কোন বিশুদ্ধ প্ৰমাণ ভিত্তিক বর্ণনা নেই যে, তিনি সাজদাহতে রাফ্উল ইয়াদায়ন করেছেন। সুনান নাসাঈর বর্ণনাটি কাতাদার তাদলীসের কারণে যইফ। ক্বাতাদাহ শু'বা থেকে বর্ণনা করেন নি। বরং সাঈদ বিন আরূবা থেকে বর্ণনা করেছেন। (নাসাঈ ৬৭২) গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৬ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৭৩) আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ফরয সালাত (আদায়ের) উদ্দেশ্যে দাঁড়াতেন, তখন আল্লহু আকবার বলতেন ও তাঁর দু’হাত দু’কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এরপর যখন তিনি রুকূ’’ করার ইচ্ছাপোষণ করতেন, তখনও তিনি তা করতেন, এরপর যখন তিনি রুকূ’’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও অনুরূপ করতেন, তিনি তাঁর সালাতে বসাবস্থায় (হাত) উঠাতেন না, আর যখন দু’সাজদা (রাকাআত) শেষ করে দাঁড়াতেন তখনও ঐ ভাবে দু’হাত উঠাতেন আর তাকবীর দিতেন। হাদীসটি মারফূ’ ও হাসান। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৮ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৭৪) আবূ নুআঈম আল ফযল বিন দুকাইন থেকে বর্ণিতঃ আবূ নুআঈম আল ফযল বিন দুকাইন আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, কায়স বিন সুলাইম আল আম্বারী আমাদেরকে খবর দিয়েছেন, তিনি বলেন, আমি আলকামা বিন ওয়ায়িল বিন হুজুরকে বর্ণনা করতে শুনেছি, আমার পিতা (ওয়ায়িল বিন হুজুর) আমাকে বলেছেন, আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছি, তিনি যখন সালাত আরম্ভ করতেন তখন তাকবীর দিতেন ও দু’হাত উঠাতেন। অতঃপর তিনি যখন রুকূ’ করার ইচ্ছাপোষণ করতেন ও রুকূ’র পরে ও দুহাত উঠাতেন। এর সনদ সহীহ। ইমাম নাসাঈ ও কায়স বিন সালীম থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৯ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৭৫) সালিম আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ সালিম আব্দুল্লাহ, তাঁর পিতা (আবদুল্লাহ ইবনু উমার) যখন সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন ও যখন (তাশাহুদের পরে) দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করতেন, তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীস টি মাওকূফ ও এর সনদ সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১১ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৭৬) নাফে’ থেকে বর্ণিতঃ আবদুল্লাহ ইবনু উমার যখন সালাত শুরু করতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, যখন রুকূ’’ করতেন, যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন, যখন দু’সাজদাহ (রাকআত) থেকে উঠে দাঁড়াতেন, তখন (তিনি) তাকবীর দিতেন ও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটি মওকূফ ও সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১২ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৭৭) নাফে’ থেকে বর্ণিতঃ ইবনু উমার (রাঃ) যখন কোন (অজ্ঞ) ব্যাক্তিকে রুকূ’র সময় ও রুকূ’ থেকে উঠার পর রাফ্উল ইয়াদায়ন করতে না দেখতেন, তখন তার দিকে পাথর নিক্ষেপ করতেন। হাদিসটি মাওকূফ ও এর সনদ সহীহ। ফুটনোটঃ ইমাম নববী তার আল মাজমু শারহুল মুহাযযাব গ্রন্থে (৩য় খণ্ড ৪০৫ পৃষ্ঠা) এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। অত্র হাদীস থেকে আরও জানা যায় না, সুন্নাহ পরিত্যাগকারীকে পাথর নিক্ষেপ করে প্রহার করা বৈধ। তবে এটি অবশ্যই শাসক কর্তৃক হওয়া বাঞ্ছনীয়, যেমন অত্র হাদীসে আবদুল্লাহ ইবনু উমার যে কাজটি করেছেন, তিনি তৎকালীন আমিরুল মুমিনীন ছিলেন। আর সুন্নাহ পরিত্যাগকারী অপরিচিত ব্যক্তিটির কাজের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়যে, সে অপরিচিত লোকটি সাহাবী ছিলনা। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১৩ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৭৮) আত্বা থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন আমি ইবনু আব্বাস, ইবনু যুবায়র, আবূ সাঈদ (আল খুদরী) ও জাবির (ইবনু আবদুল্লাহ) [রাঃ]-কে দেখেছি, তাঁরা যখন সালাত শুরু করতেন ও রুকূ’’ করতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। এ হাদীসটি হাসান। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১৪ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৭৯) আব্দুর রহমান আল আরাজ থেকে বর্ণিতঃ তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (আবূ হুরাইরা) যখন (সালাত শুরুর) তাকবীর দিতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, যখন রুকূ’’ করতেন ও যখন রুকূ’’ থেকে মাথা উঠাতেন তখন ও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। এটি সহীহ হাদীস। ফুটনোটঃ যদিও মুহাম্মাদ বিন ইসহাকের তাদলীসের কারণে এটি দুর্বল কিন্তু ১৮ নং হাদীসটি সহীহ। ভিন্ন সনদের দুটি হাদীসের মতন যেহেতু এক, সুতরাং হাদীসটি সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১৫ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮০) আসিম আল আহওয়াল থেকে বর্ণিতঃ আসিম আল আহওয়াল থেকে আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি আনাস বিন মালিক (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি যখন সালাত শুরু করতেন, তখন আল্লাহু আকবার বলতেন ও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, আর প্রত্যেক রুকূ’তে (যাওয়ার সময়) ও রুকূ’’ থেকে মাথা উঠিয়েও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটি মাওকূফ ও এর সনদ সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১৬ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮১) আবূ হামযাহ থেকে বর্ণিতঃ আবূ হামযাহ থেকে আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি (আবদুল্লাহ) ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি যখন (তাহরিমার) তাকবীর বলতেন, আর যখন রুকূ’ করতেন এবং যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটি মাওকূফ ও এর সনদ সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১৭ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮২) আত্বা থেকে বর্ণিতঃ আত্বা থেকে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছি, তিনি যখন (সালাত শুরুর) তাকবীর দিতেন ও রুকূ’ করতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটি মাওকূফ ও এর সনদ সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১৮ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮৩) আমর বিন মুররাহ থেকে বর্ণিতঃ আমর বিন মুররাহ থেকে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি হাযারা মাউতু এলাকার একটি মাসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম, সেখানে আলকামা বিন ওয়ায়িল তার পিতা থেকে হাদীস বর্ণনা করছেন, তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লা’হু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ’র পূর্বে ও পরে রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটি মারফূ‘ ও সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ১৯ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮৪) খাত্তাব বিন উসমান ইসমাঈল থেকে বর্ণিতঃ তিনি আবদে রব্বিহী বিন সুলাইমান বিন উমাইর থেকে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি উম্মুদ দারদা (রা:)-কে দেখেছি, তিনি সালাতে কাঁধ বরাবর রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটি মারফূ‘ ও হাসান। হাদীসটি ইমাম বুখারীর তারীখ আল কাবীরেও (৬ষ্ঠ খন্ড ৭৮ পৃষ্ঠায়) বর্ণিত হয়েছে। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ২০ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৮৫) মুহাম্মদ বিন মুকাতিল আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক থেকে বর্ণিতঃ মুহাম্মদ বিন মুকাতিল আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক থেকে খবর দিয়েছেন, তিনি ইসমাঈল থেকে, তিনি আবদু রব্বিহী বিন সুলাইমান বিন উমাইর থেকে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি উম্মুদ দারদা (রা:)-কে দেখেছি তিনি যখন সালাত আরম্ভ করতেন, যখন রুকূ’‘ করতেন, আর যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন তখন কাঁধ বরাবর রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। আর তিনি বলতেন, রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ। ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণের কতিপয় স্ত্রী তাদের চেয়ে (শরীয়তের বিষয়ে) বেশি জানতেন। এমনকি তারা সালাতে রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটি হাসান। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ২১ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৮৬) ইসহাক বিন ইবরাহীম আল হানযালী মুহাম্মদ বিন ফুযাইল থেকে বর্ণিতঃ ইসহাক বিন ইবরাহীম আল হানযালী মুহাম্মদ বিন ফুযাইল থেকে। তিনি আসিম বিন কুলাইব থেকে, তিনি মাহারিব বিন দীনার থেকে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি (আবদুল্লাহ) ইবনু উমার (রাঃ)- কে দেখেছি, তিনি রুকূ’তে (যাওয়ার পূর্বে) রাফ্উল ইয়াদায়ন করেছেন, আমি তাকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন দু’রাকাআত শেষে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর দিতেন ও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। হাদীসটির সনদ সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ২২ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮৭) মুসলিম বিন ইবরাহীম শু‘বাহ থেকে বর্ণিতঃ তিনি আসিম বিন কুলাইব থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি ওয়ায়িল বিন হুজুর আল হাযরামী (রাঃ) থেকে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছেন, যখন (তাহরিমার) তাকবীর বলতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, অতঃপর যখন রুকূ’ করার ইরাদা করতেন তখনও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। ইমাম বুখারী (রহ) বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব, জাবির বিন আবদুল্লাহ, আবূ হুরাইরা, উবাইদুল্লাহ বিন উমাইর, তার পিতা, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস ও আবূ মূসা (রাঃ) থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ’তে (যাওয়ার পূর্বে) ও রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে রাফ্উল ইয়াদায়ন করেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম তা একজন অতি অল্প জানা লোকের জন্যও যথেষ্ট, ইনশা আল্লাহু তা‘আলা। এর সনদ সহীহ। ইবনুল খুযাইমাহ (৬৯৮, ৬৯৭) একে সহীহ’র মধ্যে গণ্য করেছেন। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ২৩ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮৮) মুহাম্মাদ ইবনু মুকাতিল আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ তিনি ইবনু জুরাইজ থেকে পাঠ করা শুনেছেন, তিনি বলেন, আল হাসান বিন মুসলিম আমাকে এ মর্মে খবর দিয়েছেন যে, তিনি ত্বাউস থেকে সালাতে রাফ্উল ইয়াদায়ন সম্পর্কিত হাদীস শুনেছেন, তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনু উমার, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস ও আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (তার তিনজনই) রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। ত্বাউস বলেন, সালাত শুরুর প্রাক্কালে যে প্রথম তাকবীর দেয়া হয় সেখানে বাকী তাকবীরগুলোর চেয়ে কিছুটা বেশি হাত উঁচু করতে হয়। (ইবনু জুরাইজ বলেন,) আমি আত্বা (বিন আবূ রিবাহ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার নিকট কি এমন (কথা) পৌঁছেছে, প্রথম তাকবীরে অন্য তাকবীরগুলোর চেয়ে হাত বেশি উঠাতে হবে? তিনি বললেন, না। এর সনদ সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ২৪ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৮৯) মূসা বন ইসমাঈল আবূ হেলাল থেকে বর্ণিতঃ তিনি হুমাইদ বিন হিলাল থেকে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহচরবৃন্দ যখন সালাত আদায় করতেন তাদের হাতগুলো পাখা সদৃশ কান পর্যন্ত উঠতো। [ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন] আল হাসান (আল বাসরী) ও হুমাইদ বন হিলাল কোন একজন সাহাবীকেও বাদ দেননি। (অর্থাৎ তাবেয়ীগণের কথা অনুযায়ী বলা যায়, সকল সাহাবী কোন প্রকার ব্যতিক্রম ছাড়াই রাফ্উল ইয়াদায়ন করেছেন) -এ বর্ণনাটি হাসান। আবূ হিলাল মুহাম্মদ বিন সালীম আল বাসরী দুর্বল রাবী (দেখুন তুহফা আল আকয়িয়্যাহ ৯৮, ১৭ পৃষ্ঠা) কিন্তু এর পূর্বে বর্ণিত শাহেদ হাদীসটির কারণে এটি হাসান বলে পরিগণিত হয়েছে। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ২৬ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৯০) আবূল ইয়ামান থেকে বর্ণিতঃ আবূল ইয়ামান আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি শু’আইব থেকে, তিনি যুহরী থেকে, তিনি সালিম বিন আবদুল্লাহ থেকে, আবদুল্লাহ ইবনু উমার বলেন, আমি নাবী (সাঃ)-কে দেখেছি, যখন তিনি সালাতে (শুরুর) তাকবীর বলতেন, তখন তাকবীর বলার সঙ্গে দু’হাত তাঁর দু’কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। আর যখন তিনি রুকূ’র জন্য তাকবীর বলতেন, তখন তাকবীর বলার সঙ্গে দু’হাত তাঁর দু’কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। আর যখন তিনি রুকূ’র জন্য তাকবীর বলতেন, তখনও অনুরূপ করতেন, যখন তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন, তখনও ঐরূপ করতেন, আর বলতেন, রাব্বানা লাকাল হামদ। আর তিনি যখন সাজদাহ করতেন, তখন ঐরূপ করতেন না। আর যখন তিনি সাজদাহ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও ঐরূপ করতেন না। হাদীসটি সহীহ। বর্ণনাটি সহীহ বুখারীতেও (৭৩৮) উল্লেখ আছে। সালীম থেকে যুহরীর শ্রবণের বাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। (দেখন অত্র পুস্তকের ৩৮ নং হাদীস) ফুটনোটঃ ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, ইবনুল মুবারক রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, আমাদের জানা মতে জ্ঞানের দিক দিয়ে তিনি তৎকালীন সময়ের বড় বিদ্বান ছিলেন। যদিও অজ্ঞ ব্যক্তি যারা সালাফদের সম্পর্কে অজ্ঞ তাদের ইবনুল মুবারককে (দলীলসহ) অনুসরণ করা উচিত যিনি (ইবনুল মুবারক) রাসূলুল্লাহ (সাঃ), সাহাবীগণ ও তাবেয়ীগণকে মান্য করতেন। অজ্ঞ লোকেদের নিকট থেকে দলীল গ্রহণ করার চেয়ে এটা তার জন্য অধিক উত্তম হবে। এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ইমাম ইবনুল মুবারকের রাফ্উল ইয়াদায়ন করাটা মুতাওয়াতির সূত্রে প্রমাণিত। (দেখুন সুনান তিরমিযী), বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, তাদের মধ্যকার কেউ কেউ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যুগে ইবনু উমার (রাঃ) ছোট ছিলেন। অথচ নাবী (সাঃ) তার সৎ হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৩৫ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯১) ইয়াহইয়া বিন সুলাইমান থেকে বর্ণিতঃ ইয়াহইয়া বিন সুলাইমান আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি ইবনু ওয়াহব থেকে, তিনি ইউনুস থেকে, তিনি ইবনু শিহাব থেকে, তিনি সালিম বিন আবদুল্লাহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা (আবদুল্লাহ বিন উমার) থেকে, তিনি (উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা থেকে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, অবশ্যই আবদুল্লাহ ইবনু উমার সৎ ব্যক্তি। হাদীসটি সহীহ। ইমাম বুখারী হাদীসটিকে সহীহুল বুখারী (৩৭৪১, ৩৭৪০) এ বর্ণনা করেছেন। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৩৬ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯২) আলী বিন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ আলী বিন আবদুল্লাহ আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি সুফইয়ান থেকে, তিনি বলেন, আমর (বিন দীনার) বলেছেন, ইবনু উমার বলেন, অবশ্যই আমার পিতা যখন ইসলাম গ্রহণ করলেন, সে সময়কার কথা বলব, (কাফিররা) বলল, উমার নাস্তিক (ধর্মত্যাগী) হয়ে গেছে। উমার নাস্তিক (ধর্মত্যাগী) হয়ে গেছে। তখন আল আসী বিন ওয়ায়িল এসে বলল, উমার নাস্তিক (ধর্মত্যাগী) হয়ে গেছে তো কী হয়েছে? আমি তার প্রতিবেশী (তার সাহায্যকারী)। তখন তারা তাকে [উমার (রাঃ)] ছেড়ে দিল। ইমাম বুখারী বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব বলেছেন, আামি যদি কারো ব্যাপারে জান্নাতী হওয়ার সাক্ষ্য দিতাম, তাহলে অবশ্যই ইবনু উমারের জন্যই সাক্ষ্য দিতাম। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ বলেন, নাবী (সাঃ)-এর তরিকা আঁকড়ে ধরা ও পুঙ্খাণুপুঙ্খভাবে তাঁর অনুসরণকারী ইবনু উমারের চেয়ে বেশি কেউ ছিল না। ইমাম বুখারী বলেন, কতিপয় অজ্ঞ লোক ওয়ায়িল বিন হুজর সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন (যে সমালোচনা বাতিল)। সন্দেহাতীতভাবে ওয়ায়িল বিন হুজর ছিলেন ইয়ামানের রাজপুত্র। তিনি যখন নাবী (সাঃ)-এর নিকট আগমন করেন তখন নাবী (সাঃ) তাকে সম্মানিত করেন এবং তাকে একখণ্ড জমি বরাদ্দ দেন। আর তার সঙ্গে মুআবিয়া বিন আবূ সুফইয়ানকে প্রেরণ করেন। ইমাম বুখারী এ হাদীসটিকে একই সনদে স্বীয় সহীহুল বুখারীর (৩৮৬৫) মধ্যে উল্লেখ করেছেন। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৩৭ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯৩) হাফস বিন উমার থেকে বর্ণিতঃ হাফস বিন উমার আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি জামে’ ইবনু মাত্বার থেকে, তিনি আলকামা বিন ওয়ায়িল থেকে, তিনি তাঁর পিতা (ওয়ায়িল বিন হুজর) থেকে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয় নাবী (সাঃ) তাঁকে (ওয়ায়িল বিন হুজরকে) হাযরামাওত এলাকায় এক টুকরা জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এর সনদ সহীহ। ইমাম তিরমিযী (১৩৮১) একে হাসান বলেছেন। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৩৮ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯৪) আবদুল্লাহ বিন সালিহ থেকে বর্ণিতঃ আবদুল্লাহ বিন সালিহ আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আল লাইস থেকে, তিনি ইউনুস (বিন ইয়াযীদ আল আইলী) থেকে, তিনি ইবনু শিহাব (আর যুহরী) থেকে, তিনি সালিম আবদুল্লাহ থেকে, নিশ্চয় আবদুল্লাহ ইবনু উমার বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে দেখেছি, যখন তিনি সালাতের জন্য দাঁড়াতেন, তখন কাঁধ বরাবর রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, অতঃপর তাকবীর বলতেন। যখন তিনি রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও অনুরূপ (কাঁধ বরাবর রাফ্উল ইয়াদায়ন) করতেন। অতঃপর বলতেন, সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ। আর তিনি যখন সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন তখন তিনি এরূপ (রাফ্উল ইয়াদায়ন) করতেন না। হাদীসটি সহীহ। জমহুর মুহাদ্দিসগণের নিকট ইউনুস বিন ইয়াযীদ আল আইলী বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী এবং তার হাদীস সহীহ। তার ব্যাপারে সমালোচনা অগ্রহণযোগ্য। (তাহযীবুত তাহযীব প্রমুখ) গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৩৯ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯৫) আবূ আন-নু’মান (মুহাম্মাদ বিন ফযল আরিম) থেকে বর্ণিতঃ আবূ আন-নু’মান (মুহাম্মাদ বিন ফযল আরিম) আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আবদুল ওয়াহিদ বিন যিয়াদ আশ শাইবানী থেকে, তিনি মুহারিব বিন দিসার থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন উমারকে দেখেছি, তিনি যখন সালাত আরম্ভ করতেন, তখন তাকবীর দিতেন ও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। যখন তিনি রূকূ করার মনন্থ করতেন তখনও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। যখন তিনি রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও (অনুরূপ রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন)। এর সনদ সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৪০ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯৬) আল আইয়াম ইবনুল ওয়ালিদ থেকে বর্ণিতঃ আল আইয়াম ইবনুল ওয়ালিদ আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আবদুল আ’লা থেকে, তিনি উবাইদুল্লাহ থেকে, তিনি নাফি’ থেকে, তিনি ইবনু উমার থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি তাকবীর (তাহরীমা) বলে রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, যখন রুকূ’তে যেতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। আর যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন। আর ইবনু উমার রাফ্উল ইয়াদায়ন করে বলেন, নাবী (সাঃ)-ও অনুরূপ করতেন। এ হাদীসটি সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৪১ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯৭) ইবরাহীম ইবনুল মুনযির থেকে বর্ণিতঃ ইবরাহীম ইবনুল মুনযির আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি মা’মার থেকে, তিনি ইবরাহীম বিন ত্বহমান থেকে, তিনি আবুয যুবায়র থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে দেখেছি। তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন তিনি কান বরাবর রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। যখন তিনি রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। আর যখন তিনি (দু’রাকআত শেষে দাঁড়াতেন তখনও অনুরূপ (রাফ্উল ইয়াদায়ন) করতেন। হাদীসটি সনদ হাসান। মাসায়িলে আবদুল্লাহ বিন আহমাদ (১/২৪৪, ২৪৩) ও আত তাহমীদ (৯/১২৭) গ্রন্থে এর শাহেদ হাদীস রয়েছে। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৪২ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ৯৮) আবদুল্লাহ বিন সালিহ থেকে বর্ণিতঃ আবদুল্লাহ বিন সালিহ আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আল লাইস থেকে, তিনি নাফি’ থেকে বর্ণনা করেছেন। (তিনি বলেন, আবদুল্লাহ) ইবনু উমার যখন সালাতের জন্য উদ্যত হতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, যখন রুকূ’তে যেতেন, আর যখন রুকূ’ থেকে মাথা উত্তোলন করতেন, আর যখন দুই সিজদাহ (রাকআত) থেকে উঠে দাঁড়াতেন তখনও তাকবীর বলে রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন। সহীহ। ইমাম বুখারীর মত অভিজ্ঞ মুহাদ্দিসগণ যখন আবদুল্লাহ বিন সালিহ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন তখন তার হাদীস সহীহ। (তাহযীবুত তাহযীব, হাদীউস সারী মুকাদ্দামা ফাতহুল বারী, প্রমুখ) সুতরাং “কাসীরুল গালাত” কর্তৃক এ বর্ণনার দোষ-ত্রুটি নির্ণয়টি বাতিল। এ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৪৩ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ৯৯) মূসা বিন ইসমাঈল থেকে বর্ণিতঃ মূসা বিন ইসমাঈল আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি হাম্মাদ বিন সালামাহ থেকে, তিনি আইয়ূব থেকে, তিনি নাফি’ থেকে, তিনি ইবনু উমার থেকে বর্ণনা করেছেন। নাবী (সাঃ) যখন (তাহরিমার) তাকবীর বলতেন তখন রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন, যখন রুকূ’তে যেতেন তখন, যখন রুকূ’ থেকে তাঁর মাথা উঠাতেন (তখনও রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন)। হাদীসটি সহীহ। মূসা বিন ইসমাঈল থেকেও ইমাম বাইহাকী তার মা’রিফাতুস সুনান (১/৪২) এটি বর্ণনা করেছেন। হাম্মাদ বিন সুলাইমানের স্মৃতিশক্তি খর্ব হওয়ার পূর্বে বর্ণিত হাদীস এটি। (আল কাওয়াকিবুন নিরাত, প্রমুখ) তাছাড়া এর বহু শাহেদ রয়েছে। ইমাম মুসলিমও এটি ক্বাতাদাহ থেকে বর্ণনা করেছেন। (৩৯১/৮৬৫)। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৪৪ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস ১০০) মূসা বিন ইসমাঈল থেকে বর্ণিতঃ মূসা বিন ইসমাঈল আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি হাম্মাদ বিন সালামাহ থেকে, তিনি ক্বাতাদাহ থেকে, তিনি নাসর বিন আসিম থেকে, তিনি মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সহীহ। নিশ্চয়ই নাবী (সঃ) যখন সালাতে প্রবেশ করতেন তখন কানের ছিদ্র বরাবর দু’হাত উঠাতেন (রাফ্উল ইয়াদায়ন করতেন)। যখন রুকূ’তে যেতেন তখন, যখন রুকূ’ থেকে তাঁর মাথা উঠাতেন তখনও অনুরূপ (রাফ্উল ইয়াদায়ন) করতেন। হাদীসটি সহীহ। গ্রন্থঃ জুযউ রাফউল ইয়াদাইন, হাদিস নং ৪৫ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস Note: হাদিসগুলো নেওয়া হয়েছে Al Hadith, এবং Bangla Hadith সফটওয়্যার থেকে।
No comments:
Post a Comment